কুন্ডলীতে বিবাহের সময় আর গুণ
Author: Pallabi Pal
|
Updated Wed, 16 Apr 2025 09:07 PM IST
আপনি প্রায় আপনার মাতা-পিতা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের জ্যোতিষীদের কাছে “কুন্ডলীতে বিবাহের সময় আর গুণ” র ব্যাপারে প্রশ্ন করতে শুনেছেন।ভারতে এখনও বিবাহ কে একটি পবিত্র বন্ধন মানা হয়ে থাকে আর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কেননা এটি ব্যাক্তির ব্যাক্তিগত জীবনে ভিত্তি স্থাপন করে। ভারতীয় জ্যোতিষ আর ভারতীয় সমাজে বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার রূপে দেখা হয়ে থাকে আর এমনটি মানা হয়ে থাকে যে জ্যোতিষ এর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিবাহের সময় আর সফলতা কে প্রভাবিত করে।
এটিও পড়ুন: রাশিফল 2025
সারা বিশ্বের বিদ্যান জ্যোতিষীদের সাথে বলুন ফোনে কথা আর জানুন ক্যারিয়ার সম্বন্ধিত সমস্ত তথ্য
আজ এস্ট্রোসেজের এআই এর এই বিশেষ নিবন্ধের মাধ্যমে আমরা এই বিষয়ে চর্চা করবো যে কোন ব্যাক্তির কুন্ডলী আর তার পূর্ব জন্মের আঁধারে গ্রহের স্থিতি বিবাহের সময় আর সেটির গুণ কে কীভাবে প্রভাবিত করে।
কুন্ডলীতে বিবাহের সময় আর গুণ
কুন্ডলীতে বিবাহের সময় আর গুণকে স্পষ্ট রূপে জানার আর সেটির সঠিক পূর্বানুমান লাগানোর জন্য কিছু বিশেষ পদ্ধতি আর স্থিতি কে বুঝতে হবে। জানা যাক যে কোন ব্যাক্তির বিবাহের সময়টি জানার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি আর স্থিতিগুলি কী।
বিয়েতে হচ্ছে দেরী বা বিবাহিত জীবনে সমস্যা? পান সমাধান: জ্যোতিষীয় পরামর্শ
দশা আর ভূক্তি
কোন জাতক/জাতিকার কুন্ডলীতে বিবাহের সম্ভবনার জন্য নিন্ম পরিস্থিতি হওয়া আবশ্যক:
- সেই সময় জাতক/জাতিকার সপ্তম ভাবের অধিপতি বিসন্তরী দশা, সপ্তম ভাবে গ্রহ, সপ্তম ভাবে গ্রহের দৃষ্টি হতে হবে।
- নবমাংশের সপ্তম ভাবের গ্রহ বা নবমাংশের সপ্তম ভাবের অধিপতির মহাদশা, অন্তর বা প্রত্যন্তর দশা চলা উচিত।
- বিবাহের কারক গ্রহ শুক্র, বৃহস্পতি বা রাহুর দশা চলা উচিত। (রাহু কে বিবাহের ফলদাতা মানা হয়ে থাকে)
- লগণেশের দশা আর একাদশ ভাবের অধিপতির ভূক্তি।
- দ্বিতীয় বা অষ্টম ভাবের দশা/ভূক্তি।
- সপ্তমেশ/সপ্তমেশ এর দৃষ্টি দেওয়া গ্রহের দশা।
গোচর
- লগনেশ আর সপ্তমেশের দেশান্তর জোড়া। যখন বৃহস্পতি এই বিন্দুতে/এটির ত্রিকোণ/সপ্তম ভাবে গোচর করে, তখন বিবাহের সম্ভবনা হয়ে থাকে।
- জন্ম নক্ষত্রে অধিপতি আর সপ্তমেশের দেশান্তর জোড়া। যখন বৃহস্পতি এই বিন্দুতে/ এটির ত্রিকোণ এ গোচর করে, তখন বিবাহের সম্ভবনা হয়ে থাকে।
- বৃহস্পতির গোচর/ দৃষ্টি নবমাংশে স্থিত রাশিতে, লগণেশের অধিপতির নবমাংশ রাশি অধিপতিতে হয়।
- সপ্তম ভাবে লগণেশের গোচর।
- যখন বৃহস্পতি জন্ম থেকেই শুক্র বা সেটির অধিপতি বা সেটির ত্রিকোণ এ গোচর করে, তখন পুরুষদের বিবাহের সম্ভবনা তৈরী হয়ে থাকে।
- যখন শুক্র জন্ম থেকেই মঙ্গল, সেটির অধিপতি বা মঙ্গল/শুক্রের ত্রিকোণ রাশিতে গোচর করে, তখন মহিলাদের বিবাহের যোগ তৈরী হয়ে থাকে।
- বিবাহের কারক গ্রহের গোচর শুভ ভাবে থাকে আর অষ্টকবর্গ এ অধিক বিন্দু ইশারা করে।
দোহারে গোচরের পদ্ধতি
অনেক মর্ডান জ্যোতিষীরা অধ্যয়ন আর বিশ্লেষণের আঁধারে এই নিষ্কর্ষ করেছেন যে দুটি প্রমুখ গ্রহ শনি আর বৃহস্পতি গোচরের ফলে বিবাহের ভবিষ্যবাণী করা যেতে পারে। এছাড়া মঙ্গল আর চন্দ্রমার গোচর থেকে বিবাহের সময় আর সংকুচিত হতে পারে। আমরা সবাই জানি যে জীবনে বৃহস্পতি আর শনির আশীর্বাদ ছাড়া কোন কিছু ভালো হয় না আর বিবাহ এমনই একটি ঘটনা। এটির জন্য নিন্মলিখিত স্থিতি:
- গোচরে শনির লগনেশ বা সপ্তম ভাবে দৃষ্টি হওয়া উচিত।
- গোচরে বৃহস্পতির সপ্তমেশ আর/সপ্তম ভাবে দৃষ্টি হওয়া উচিত।
- শনি আর বৃহস্পতি পারস্পরিক তাদের ভূমিকা বদলাতেও পারে।
- চন্দ্রমা আর মঙ্গল উপরোক্ত স্থিতি অনুসারে গোচর করে, তাহলে এটির ফলে বিবাহের সময় কয়েক মাস বা দিন পর্যন্ত সীমিত হতে পারে।
- বিবাহের জন্য অধিকতম স্থিতি সম্পূর্ণ হওয়া উচিত।
বিবাহের বিশ্নেষণ করার সময় ধ্যান রাখার যোগ্য কথাগুলি:
ভারতীয় জ্যোতিষে বিবাহ কে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মানা হয়ে থাকে আর জ্যোতিষশাস্ত্রের বিভিন্ন দিক কুন্ডলীতে বিবাহের সময় আর গুণ এবং সাফল্যকে প্রভাবিত করে। ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রে বিবাহ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নীচে দেওয়া হল:
- সপ্তম ভাব, সপ্তমেশ আর এই ভাবে স্থিত গ্রহের ভূমিকা
কুন্ডলীর সপ্তম ভাবের বিশেষ রূপে বিবাহ, অংশীদারিত্ব এবং সম্পর্কের সাথে সম্পর্কিত। সপ্তম ভাবে মজবুত আর শুভ গ্রহের উপস্থিতি বিবাহ কে সুখময় আর সফল বানাতে বা করতে কাজ করে। যদি সপ্তম ভাব পীড়িত হয়, তাহলে এটির ফলে বিবাহে দেরি বা চ্যালেঞ্জ আসতে পারে।
- শুক্র প্রেম, সৌন্দর্য্য আর সম্পর্কের কারক এবং সেটি বিবাহিত জীবনে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করে। কুন্ডলীতে শুক্রের স্থিতি আরো মজবুতির সাথে জানা যেতে পারে যে জাতক/জাতিকা কেমন সাথী পছন্দ করবে আর তার বিবাহিত জীবন কেমন থাকবে। এমনটি মানা হয়ে থাকে যে মজবুত শুক্র বিবাহিত জীবনে সুখ-শান্তি প্রদান করে যদিও এই গ্রহের দূর্বলতা বা পীড়িত হওয়ার সময় সম্পর্কে চ্যালেঞ্জ আসতে পারে।
- চন্দ্রমার ভূমিকা
চন্দ্রমার সম্পর্ক ভাবনার সাথে জড়িত আর কুন্ডলীতে চন্দ্রমার স্থিতি দ্বারা জানা যায় যে বিবাহিত সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভাবুক স্থিরতা কতটা আর কেমন। চন্দ্রমা মজবুত হওয়ার ফলে সম্পর্কে ভাবনাত্বক সন্তুষ্টি মিলে থাকে।
- বিসন্তরী দশা
বৈদিক জ্যোতিষে বিবাহের সময়ের গণনা করার দশাতে প্রণালী অর্থাৎ গ্রহের অবধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোন বিশেষ গ্রহের মহাদশা আর অন্তর্দশা দ্বারা বিবাহের সঠিক সময়ের তথ্য পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, নারী-পুরুষ উভয়েরই জন্মপত্রিকায় শুক্রের অবস্থান বিবাহের জন্য অনুকূল বলে বিবেচিত হয়।
বৃহৎ কুন্ডলী: আপনার জীবনে গ্রহের প্রভাব এবং প্রতিকার জানুন
- নবমাংশ কুন্ডলী
নবমাংশ কুন্ডলীর ব্যবহার বিবাহ আর সম্পর্কের গুণের আঙ্কলন করার জন্য হয়ে থাকে। এটি জীবনসাথীর ব্যবহার এবং বিশেষত্ব বোঝা এবং বৈবাহিক বন্ধনের শক্তি জানা গুরুত্বপূর্ণ। বিবাহ সম্পর্কে গভীর তথ্য জানতে, নবমাংশ কুণ্ডলীতে সপ্তম ভাব এবং এর অধিপতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
- মাঙ্গলিক দোষ
বিবাহেরসাথে জড়িত সবথেকে প্রচলিত বা লোকপ্রিয় জ্যোতিষীয় ধারণাতে মাঙ্গলিক দোষ এর নাম সবথেকে উপরে আসে। যখন মঙ্গল প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম বা দ্বাদশ ভাবে, তখন এটি মাঙ্গলিক দোষের কারণে বিবাহে চ্যালেঞ্জ এসে থাকে বিবাহে দেরি বা বিবাহিত সুখের ঘাটতি এসে থাকে। যদিও, বিশেষ উপায়ে এটির প্রভাব কম করার পদ্ধতি উপস্থিত রয়েছে।
- সামঞ্জস্য (কুণ্ডলী মিল)
প্রায় বিবাহের আগে পরিবারের সদস্যরা ছেলে আর মেয়ের কুন্ডলী মেলায়। এরফলে জানা যায় যে ছেলে-মেয়ের জ্যোতিষীয় দৃষ্টিকোণে একে-অপরের সাথে অনুকূল কী না। কুন্ডলী মেলানে নিন্ম ক্ষেত্রে ধ্যান দেওয়া হয়ে থাকে।
- গুণ মেলান: এই সংখ্যা তে আঁধারিত একটি প্রণালী যাতে ছেলে আর মেয়ের শারীরিক, মানসিক আর ভাবনামত্বক সামঞ্জস্য দেখা হয়ে থাকে।
- দোষ বিশ্লেষণ : বিবাহ কে প্রভাবিত করতে চলা কোন সম্ভব্যিক দোষ কেও দেখা হয়ে থাকে।
- নারী দোষ : এটিতে দেখা হয়ে থাকে যে ছেলে আর মেয়ের কুন্ডলীতে নারী দোষ নেই তো।
- রাহু আর কেতু
চন্দ্র নোড, রাহু আর কেতুও বিবাহ কে প্রভাবিত করে। দক্ষিণ নোড এ কেতু গত কাজগুলিকে বোঝায় যদিও রাহু ইচ্ছা আর ভবিষ্যের সম্ভবনা কে বোঝায়। বিবাহ কবে হবে, এটি তে রাহু আর কেতুর স্থিতি তে প্রভাব পড়তে পারে। যদি এই দুটি গ্রহ অশুভ ভাবে থেকে থাকে, তাহলে বিবাহে দেরি বা বাঁধা আসতে পারে।
সর্বদা জ্যোতিষী কুন্ডলীতে বিবাহের সময় আর গুণ র ব্যাপারে জানার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার করেন, যেমন:
- বৃহস্পতি আর শনির গোচর: বৃহস্পতি কে একটি শুভ গ্রহ মানা হয়ে থাকে আর এটি সপ্তম ভাব বা শুক্রে গোচর করে, তাহলে এটি বিবাহের জন্য অনুকূল সময় হয়ে থাকে। শনি কালে সেইজন্য যখন শনি বৃহস্পতির সাথে গোচর করার ফলে কোন ভাব কে সক্রিয় করে, তখন সেই ভাবের ফল মিলে।
- সপ্তমেশের দশা আর অন্তর্দশা: যখন সপ্তমেশের দশা চলছে, তখন এই সময়টি বিয়ের জন্য শুভ মানা হয়ে থাকে।
- গ্রহের অস্ত আর বকরি হওয়া যখন শুক্র, বৃহস্পতি বা বুধের মতো গ্রহগুলি অস্ত যায় বা বকরি হয়, তখন তারা সম্পর্ক এবং বিবাহের সময়কে প্রভাবিত করতে পারে। জ্যোতিষী কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিতে পারেন অথবা এর প্রভাব কমাতে সতর্ক থাকতে পারেন।
- এবার আমরা কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের কুন্ডলী বিশ্লেষণ করব এবং বুঝতে পারব যেকুন্ডলীতে বিবাহের সময় আর গুণসপ্তম ভাবের অবস্থান এবং অন্যান্য গ্রহের অবস্থা বিবাহের সময় এবং গুণের উপর কী প্রভাব ফেলে।
রেখা আর তার মুখেশ আগারওয়ালের বিবাহের কাহিনী
এই লোকপ্রিয় অভিনেত্রী রেখার কুন্ডলী। রেখা আজও হাজারো মনে তার সুন্দরতা আর স্টাইল দিয়ে হাজার হাজার হৃদয়ে রাজত্ব করেন। রেখা পর্দায় অনেক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন। রেখা তার সময়ের সেইসব অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন যারা একসময় কোনো না কোনো কারণে খবরে থাকতেন, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের জন্যও তিনি সবসময় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে থাকেন।
বৃহৎ কুন্ডলী তে লুকিয়ে রয়েছে, আপনার জীবনের সমস্ত তথ্য, জানুন গ্রহের চলনের লেখা-ঝোখা
অমিতাভ বচ্চনের সাথে তার প্রেম নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে এবং বলিউডের ইতিহাসে এটি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। যেহেতু, সেই সময় অমিতাভ বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল, তাই তাদের প্রেমের গল্পটি খুব বেশি এগোতে পারেনি।
রেখা ব্যাবসায়ী মুকেশ আগারওয়ালের সাথে বিয়ে করেন আর এটিও চর্চার একটি বিষয় :
- রেখার জন্মকুন্ডলী দেখা গেলে, দেখা যায় যে তিনি ধনু লগ্নের জাতক এবং রাহু ও মঙ্গল তার লগ্নে বসে আছেন।
- সপ্তম ভাবের অধিপতি বুধ একাদশ ভাবে উচ্চ শনির সাথে বসে রয়েছে। যদিও, শনি একটি মজবুত ধন যোগ তৈরী করছে কিন্তু এটি বুধ কে এতটাও অধিক প্রভাবিত করে ফেলেছে যে বিবাহের সাথে জড়িত সঠিক পরিণাম দিতে পারে পাচ্ছে না।
- শুক্র বিবাহের কারক আর রেখার কুন্ডলীতে সেটি দ্বাদশ ভাবে অবস্থিত এবং পাপকার্থরী যোগে অবস্থিত। তিনি বিশাখা নক্ষত্রে আছেন যা প্রায়শই পতনের নক্ষত্র হিসাবে বিবেচিত হয়।
- সপ্তম ভাবে কেতু আর মঙ্গলের দৃষ্টি এটিতে পড়ছে। এখানে সপ্তম ভাব খুব অধিক পীড়িত। মার্চ 1990 এ রেখা আর মুকেশ আগারওয়াল এর সাথে বিয়ে করেছিলেন আর সেই সময় তার বুধ-সূর্য্য-কেতু-মঙ্গল এর দশা চলছিল।
- সপ্তম ভাবের অধিপতি হয়ে বুধ বিবাহের সাথে জড়িত পরিণাম দেয় কিন্তু যদি আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে দেখি, তাহলে দেখা যাবে যে তার দ্বিতীয় এবং অষ্টম ভাবও শনি এবং বৃহস্পতির দোহার গোচর দ্বারা সক্রিয় ছিল। রাশিফলের দ্বিতীয় ভাবটি পরিবারের জন্য দায়ী এবং অষ্টম ভাবটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য দায়ী।
- সেই সময় শনি মকর রাশিতে ছিল আর বৃহস্পতি কর্কট রাশিতে গোচর করছিল।
- বিবাহের দিন রেখা র সপ্তম, নবম, অষ্টম, লগ্ন আর পঞ্চম ভাব সক্রিয় ছিল। ।
- যদিও, সপ্তম ভাবটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাই বিয়ের কয়েক মাস পরেই তার স্বামী আত্মহত্যা করে মারা যান।
- সপ্তম ভাবে মঙ্গলের সম্পূর্ণ দৃষ্টি পড়ছে আর রাহুর সাথ কেতুর স্থিতি বোঝায় যে জীবনসাথীর মধ্যে বেশি রেগে যাওয়ার বা হতাশাগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এরপর, রেখা আর বিয়ে করেননি এবং কেবল তার ক্যারিয়ারের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন।
এবার আসুন নবমাংশ কুণ্ডলীর দিকে একবার নজর দেওয়া যাক কারণ নবমাংশ মূলত বিবাহের মান এবং বিবাহ পরবর্তী জীবনের ইঙ্গিত দেয়।
- যদি আমরা রেখার নবমাংশ কুণ্ডলীর দিকে তাকাই, তাহলে তার লগ্ন কুণ্ডলীর সপ্তম ভাব বুধ দ্বাদশ ভাব অবস্থিত, যা 'ভবত ভাবম' নীতি অনুসারে, তার নিজের ভাব থেকে ষষ্ঠ স্থানে অবস্থিত। এটি একটি বিবাহের আকস্মিক সমাপ্তির প্রতিনিধিত্ব করে।
- নবমাংশের সপ্তম ভাবের অধিপতি শুক্র চতুর্থ ভাবে সূর্যের সাথে বসে ছিলেন এবং মঙ্গলে পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করছিলেন যা আবারও দেরিতে বিবাহ এবং বৈবাহিক সম্পর্কে অসন্তুষ্টির ইঙ্গিত দেয়।
শারুখ খানের বিবাহ
এবার আসুন একজন অভিনেতার উদাহরণ নেওয়া যাক যার বিয়ে বলিউডে উদাহরণ হিসেবে বিখ্যাত এবং তিনি হলেন শাহরুখ খান।
শাহরুখ খান বলিউডের বাদশা এবং চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতাদের একজন হিসেবে বিবেচিত এবং তার বিয়ে বলিউডের সেরা বিবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাহলে আসুন এবার শাহরুখ খানের কুন্ডলী দেখে নেওয়া যাক কোন গ্রহগুলির কারণে তার বিবাহ এত দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে এবং তিনি বৈবাহিক সুখ উপভোগ করতে পেরেছেন।
- শাহরুখ সিংহ লগ্নের অন্তর্গত এবং সূর্য তার তৃতীয় ঘরে দুর্বল। এটা নেতিবাচক দেখাচ্ছে কিন্তু এখানে সূর্য খুবই শক্তিশালী এবং এই কারণেই শাহরুখ তার প্রতিভার জোরে এত নাম এবং খ্যাতি অর্জন করতে পেরেছেন।
- সপ্তম ঘরের অধিপতি শনি, সপ্তম ঘরেই ভালো অবস্থানে আছেন। শনি তার নিজস্ব রাশিতে প্রতিগামী হচ্ছে যা বিবাহের জন্য অশুভ লক্ষণ নয়।
- তার কুন্ডলির শুক্র গ্রহ প্রেম, প্রেম এবং সৃজনশীলতার পঞ্চম ঘরে অবস্থিত। এই কারণেই শাহরুখকে 'রোমান্সের রাজা' উপাধি দেওয়া হয়েছে।
- তার পঞ্চম এবং সপ্তম উভয় ভাবেই বৃহস্পতির দৃষ্টি থাকে, যা একটি শুভ গ্রহ এবং এটি যার দিকেই দৃষ্টিপাত করে তাকে রক্ষা করে।
- শাহরুখ তার স্ত্রী গৌরী খানকে ১৯৯১ সালের ২৫শে অক্টোবর বিয়ে করেন। বিয়ের দিন তার রাহু-শুক্র-শুক্র-চন্দ্র দশা চলছিল। তার তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, একাদশ সপ্তম, অষ্টম এবং দ্বাদশ ঘরও সক্রিয় ছিল। এখানকার বেশিরভাগ অনুভূতিই বিবাহের প্রতিনিধিত্ব করে।
- শনি এবং বৃহস্পতির দ্বৈত গোচরের কারণে অষ্টম ঘর সক্রিয় হয়ে ওঠে। এটি বিয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘর।
- সপ্তম ঘরে কোনও অশুভ গ্রহের দিক নেই।
এবার আসুন শাহরুখ খানের নবমাংশ কুণ্ডলী দেখা নেওয়া যাক, তার বিবাহিত জীবন সম্পর্কে কী বলা হয়েছে।
- তার নবমাংশ কুষ্ঠিতে, সপ্তম ভাব রাহু-কেতু অক্ষে অবস্থিত, বৃহস্পতির তৃতীয় ভাব থেকে সপ্তম ভাবে দৃষ্টি পড়ছে যা বিবাহ এবং সপ্তম ভাবের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য দিকগুলিকে রক্ষা করে।
- লগ্ন কুন্ডলীতে সপ্তম ভাবের অধিপতি শনি আর নবমাংশ কুণ্ডলীতে সপ্তম ভাবের অধিপতি হলেন মঙ্গল, যা ইঙ্গিত দেয় যে জীবনসঙ্গীর ব্যক্তির উপর গভীর প্রভাব থাকবে। জীবনসঙ্গী তার বিবাহকে সফল করার জন্য এবং কঠিন সময়ে তা রক্ষা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে এবং যদি তাদের সম্পর্কের মধ্যে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি আসে, তবে সে সাহসের সাথে তা মোকাবেলা করবে।
অতএব, বিবাহের সময় এবং গুণমান ব্যাখ্যা করার সময় উপরোক্ত দিকগুলি বিবেচনায় নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
রত্ন, যন্ত্র সমেত সমস্ত জ্যোতিষীয় সমাধানের জন্য ভিসিট করুন : এস্ট্রসেজ অনলাইন শপিং স্টোর
আমরা আশা করি যে আপনার অবশ্যই আমাদের নিবন্ধটি পছন্দ হয়েছে। যদি তাই হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে শেয়ার করতে হবে। ধন্যবাদ!
সর্বদা জিজ্ঞেস করণীয় প্রশ্ন
1.জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বিবাহের সময় এবং তার গুণমান কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
সেই সময় কোন মহাদশা চলছে, সপ্তম ঘর কেমন এবং এর অধিপতি কে ইত্যাদি।
2. বিবাহের জন্য কোন গ্রহগুলি কারক?
শুক্র গ্রহ নারী-পুরুষ উভয়ের বিবাহের কারক।
3. একজন নারীর রাশিফলের কোন গ্রহ তার সঙ্গীর স্বভাব নির্ধারণ করে?
বৃহস্পতি এবং মঙ্গল।