হিন্দু ধর্মেষটতিলাএকাদশী কে খুব শুভ আর গুরুত্বপূর্ণ মানা হয়ে থাকে। একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর উপাসনা করার বিধান রয়েছে। বছরে মোট 24 কাদশী থাকে, যার মধ্যেষটতিলাএকাদশী অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। এস্ট্রোসেজের এআই এর এই নিবন্ধে আমরা আপনাকে বলতে চলেছি যেষটতিলা একাদশী2025 কবে। এটির সাথে আমরা আপনাকেষটতিলা একাদশীর পুজোর মুহূর্ত, গুরুত্ব, সঠিক পুজোর বিধি, পৌরণিক কথার সাথে-সাথে এই দিন করণীয় সরল এবং অছুক উপায়ের ব্যাপারে।
এটিও পড়ুন: রাশিফল 2025
ভবিষ্যের সাথে জড়িত যে কোন সমস্যার সমাধান পেতে বিদ্যান জ্যোতিষীয়দের সাথে কথা বলুন
25 জানুয়ারী শনিবারের দিন ষটতিলা একাদশী পড়ছে। 24 জানুয়ারী সন্ধ্যা 07 বেজে 27 মিনিটে একাদশী তিথি আরম্ভ হবে আর আগামী দিন অর্থাৎ 25 জানুয়ারী রাত্রি 08 বেজে 34 মিনিটে এটির সমাপন হবে। উদয়া তিথির অনুসারে, ষটতিলা একাদশীর ব্রত 25 জানুয়ারী, 2025 এ করা হবে।
এই একাদশীর ব্যাপারে তিলের বীজ দেখতে পাওয়া যায়। এই একাদশীতে ছয় ধরণের তিলের ব্যবহার করা হয় আর এটি কারণে এই একাদশী কে ষটতিলা একাদশী নাম জানা হয়ে থাকে। হিন্দু ক্যালেন্ডারে মাঘ মাস ভগবান বিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয় বলে বিশ্বাস করা হয়। মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে ষষ্ঠীলা একাদশীর উপবাস পালন করা হয়। এই দিন সত্যিকারের হৃদয় ও বিশ্বাসের সাথে উপবাস ও উপাসনা করলে, একজন ব্যক্তির সমস্ত ঝামেলা দূর হয় এবং সে সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি লাভ করে। বলা হয়ে থাকে যে এই দিন ভক্তরা সত্য মন থেকে যা-ই চাই, তা অবশ্যই মিলে।
এই ব্রতের মহিমা এই সত্য থেকে জানা যায় যে, ষটতিলা একাদশীতে ব্রত রাখলে কন্যা সন্তান দান করার মতোই পুণ্য ও কল্যাণ লাভ হয়। ষটতিলা একাদশীতে উপবাস করলে ব্যক্তির সমস্ত দুঃখের অবসান হয় এবং মৃত্যুর পরে সে মোক্ষ লাভ করে।
বৃহৎ কুন্ডলী তে লুকিয়ে রয়েছে, আপনার জীবনের সমস্ত তথ্য, জানুন গ্রহের চলনের সম্পূর্ণ লেখা-ঝোখা
যদি আপনিও এই বার ষটতিলা একাদশীতে ব্রত রাখার কথা ভাবছেন, তাহলে আগে বলা পূজন বিধি অনুসারে এই দিনে ব্রত এবং পুজো করতে পারেন।
একাদশী ব্রতের নিয়মের শুরু দশমী তিথি থেকেই হয়ে যায়। নিয়ম অনুসারে দশমী তিথির দিন সূর্য্যাস্তর পরে ভোজন গ্রহণ করা উচিত নয়। এছাড়া রাত্রে শোবার আগে বিষ্ণু র ধ্যান অবশ্যই করুন।
ষটতিলা একাদশীর দিন প্রাতঃ কালে উঠে নিত্য কর্ম শেষ করার পর, একটি পাত্রে জল ভরে নিন এবং তারপরে তিল বীজ যোগ করুন এবং স্নান করুন। এর পরে, ভগবান বিষ্ণুর ধ্যান করে উপবাস পালনের প্রতিজ্ঞা করুন।
এবার আপনি আপনার ঘরের পুজোর স্থলে ভগবান বিষ্ণুর ছবি বা প্রতিমা কে চৌকি তে স্থাপিত করুন। এবার মূর্তিতে গঙ্গাজলে তিল মিশিয়ে মূর্তিগুলোর উপর ছিটিয়ে দিন এবং পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করান। পঞ্চামৃতের সাথে তিল মেশাতে ভুলবেন না।
এটির পরে আপনি ভগবান বিষ্ণুর মূর্তির সামনে দেশী ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে তথা ফুল অর্পিত করুন। এরপরে, ধূপ ও প্রদীপ দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর আরতি করুন এবং বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ করুন। পূজা করার পর, প্রসাদ হিসেবে ঈশ্বরকে তিল নিবেদন করুন।
পান আপনার কুন্ডলী আঁধারিত সঠিক শনি রিপোর্ট
এক বার নারদ মুনি বৈকুন্ঠ ধাম গিয়ে আর সেখানে গিয়ে বিষ্ণুর থেকে ষটতিলা একাদশী ব্রতের গুরুত্বর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। তখন ভগবান বিষ্ণু বলেন যে, প্রাচীন কালে পৃথিবীতে একজন ব্রাম্ভণ এর জীবনসঙ্গী/স্ত্রী থাকতেন যার স্বামীর মৃত্যু হয়ে গেছিল। উনি তার খুব ভক্ত ছিলেন। একবার তিনি ভগবান বিষ্ণুকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রতি মাসে একবার ব্রত করতেন। এই ব্রত রাখার ফলে তার শরীর পবিত্র হয়ে উঠেছে। তবে, তিনি কখনও ব্রাহ্মণ এবং দেবতাদের খাদ্য দান করেননি। একদিন আবার ভগবান বিষ্ণু স্বয়ং তাঁর কাছে ভিক্ষা চাইতে গেলেন।
ভগবান বিষ্ণু যখন ভিক্ষা চাইলেন, তখন মহিলাটি মাটির একটি টুকরো তুলে তাঁর হাতে দিলেন। ভগবান সেই দেহটি নিয়ে বৈকুণ্ঠে ফিরে আসেন এবং কিছুক্ষণ পর সেই মহিলা মারা যান এবং বৈকুণ্ঠে স্থান লাভ করেন। এখানে সে একটি কুঁড়েঘর এবং একটি আম গাছ পেল। কুঁড়েঘরের ভেতরে কিছুই ছিল না এবং এটা দেখে মহিলাটি ভগবান বিষ্ণুর কাছে গিয়ে বললেন, সর্বদা ধর্ম পালন করার পরেও আমার কুঁড়েঘর খালি কেন? এটিতে ভগবান বললেন যে সে কখনো অন্ন দান করেন নি আর ভিক্ষাতে তাকে মাটির টুকরো দিয়েছেন। এই কারণে আজ সে এই ফল প্রাপ্ত করেছে। এটির ফলে ভগবান বিষ্ণু বললেন যে যখন দেব কন্যা আপনার সাথে দেখা করার জন্য কুঁড়েঘরে এসেছিল, তখন যতক্ষণ না তারা আপনাকে ষটতিলা একাদশী ব্রত পালনের পদ্ধতি না বলে, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি দরজা খুলবে না।
এরপরে স্ত্রী দেব কন্যা দ্বারা বলা বিধি অনুসারে ষটতিলা একাদশীর ব্রত করলেন আর এই ব্রতের মহিমার ফলে তার কুঁড়েঘরে অন্ন আর ধন-ধান্য ভরে গেল। এই কথাটির উদাহরণ দিয়ে ভগবান বিষ্ণু নারদ কে বলেছিলেন যে, যে ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে ষটতিলা একাদশীর ব্রত পালন করে এবং এই দিনে তিল দান করে, সে মোক্ষ ও সমৃদ্ধি লাভ করে।
আগে বলা বিষ্ণু-র এই উৎসবের দিনে কী শুভ কাজ করা যেতে পারে:
ক্যারিয়ারের হচ্ছে চিন্তা! এক্ষণি অর্ডার করুন কগ্নিএস্ট্রো রিপোর্ট
এই একাদশীর দিন 6 প্রকারের তিলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটির মধ্যে প্রথমে স্নানের জলে তিল মিশিয়ে স্নান করার বিধান বা নিয়ম রয়েছে। দ্বিতীয়ত, এই দিনে তিলের তেল দিয়ে মালিশ করা উচিত। তৃতীয়টি হল তিলের বীজের হবন এবং চতুর্থটি হল তিলের জল পান করা। এটির মধ্যে পঞ্চম কাজ হল তিল দান করা এবং ষষ্ঠ কাজ হল তিল দিয়ে তৈরি জিনিস খাওয়া।
এই দিন এই 6 প্রকারে তিলের ব্যবহার করা শুভ মানা হয়ে থাকে। যদি কোন ব্যাক্তি ষটতিলা একাদশী তে এই টি উপায়ে তিল ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি মোক্ষ লাভ করেন। এই শুভ দিনে তিল দান করলে দারিদ্র্য এবং জীবনের সমস্যাও দূর হয়।
আপনার কুন্ডলীতে কী রয়েছে রাজযোগ? জানুন আপনার রাজযোগ রিপোর্ট
এবার ঘরে বসে বিশেষজ্ঞ পুরোহিত দিয়ে করান ইচ্ছানুসারে অনলাইন পূজো আর পান উত্তম পরিণাম!
ষটতিলা একাদশী 2025 তে ভগবান বিষ্ণু কে প্রসন্ন করার জন্য আপনি আপনার রাশিনুসারে উপায় করতে পারেন।
রত্ন, যন্ত্র সমেত সমস্ত জ্যোতিষীয় সমাধানের জন্য ভিসিট করুন : এস্ট্রসেজ অনলাইন শপিং স্টোর
আমরা আশা করি যে আপনার অবশ্যই আমাদের নিবন্ধটি পছন্দ হয়েছে। যদি তাই হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে শেয়ার করতে হবে। ধন্যবাদ!
1. 2025 ষষ্ঠীলা একাদশী কখন?
25 শে জানুয়ারী ষষ্ঠীলা একাদশী
2. ষষ্ঠীলা একাদশীতে উপবাস করলে কী হয়?
এই উপবাস পালন করলে মোক্ষ লাভ হয়।
3. একাদশীর উপবাস কে রাখতে পারে?
একাদশীতে যে কেউ উপবাস করতে পারেন।